না বলতে শিখুন pdf – by Wahid Tushar

“না বলতে শিখুন”

“না” শব্দটি আসলে অনেক ছোট কিন্তু এই ছোট শব্দটি অনেক ব্যক্তি বলতে পারে না। লেখক ওয়াহিদ তুষার তাই পাঠকদের জন্য প্রকাশ করলেন “না বলতে শিখুন” যদি হ্যাঁ বলতে না চনা। লেখক তার বইটিতে চেষ্ট করেছেন সমাজের সরল ব্যক্তিদের মনের কথা গুলো তুলে ধরতে। পৃথিবীতে অনেক লোক রয়েছে যারা এই না শব্দটি অতি সহজে বলতে পারে না। এমন ব্যক্তিরা সাধারণত একটু আলাদা হয়ে থাকে। একটু বেশি সহজ সরল হয়ে থাকে। তারা ভাবে তাদের না বলাটা ঠিক হবে না বা বলতে পারবে না।

অনেকে আছে অফিসে তার দায়িত্বের সকল কাজ করে তাড়াতাড়ি বাড়ি যাবে ভেবে অফিস ত্যাগ করবে ঠিক এমন সময় পার্শ্বে সহকর্মী বলতেছে ভাই আমার এই কাজটা একটু করে দিয়েন আমি একটু বন্ধুদের সাথে মুভি দেখতে যাবো। ঠিক সেই মহুত্তে না বলা তার জন্য জরুরী হলেও কিন্তু বলতে পারতেছে না। কারণ তিনি ভাবছেন না বললে হয়তো সহকর্মী তাকে খারাপ ভাববে। কিন্তু তাকেও যে বাড়ি ফিরতে হবে খুব জরুরী তিনি তা ভাবলেন না। এ্ই জন্য জীবনে কিছু কিছু সময় না বলা খুবই জরুরী।

না বলতে শিখুন তা না হলে এমন এক সময় আসবে যখন আপনি চাইলেও আর না বলতে পারবে না। ধীরে ধীরে নিজের প্রতি নিজের অনিহা চলে আসবে। একধরনের হতাশা সৃষ্টি হবে। বন্ধ-বান্ধব, আত্বীয়-স্বজনদের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ততা হয়ে উঠবে। তাই সব সংকোচ বোধ ত্যাগ করে প্রয়োজন অনুযায়ী সময় মত না বলতে হবে। সব সময় মনের কথাটাকে শুনতে হবে।

বিডি এডুকেশন লাইফ নিয়মিত জনপ্রিয় বইয়ের pdf সংগ্রহ করে পাঠকদের সরবরাহ করে আসছে। তাই নিয়মিত জনপ্রিয় বই পড়তে এবং না বলতে শিখুন pdf ফাইল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। বিডি এডুকেশন লাইফ গল্পের বই, কবিতার বই, ইসলামিক বই, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, সরকারি-বেসরকার চাকরি প্রস্তুতি বই pdf কপি সংগ্রহ করে আপনাদের প্রদান করবে। এর জন্য আমাদের সাথেই থাকুন…

 

না বলতে শিখুন বইয়ের ভূমিকা:

‘না’ বলতে যদি আপনার সংকোচবােধ হয় বা আপনার জন্য ‘না’ বলাটা কঠিন হয় তবে অধিকাংশ সময়ে অন্যের ইচ্ছামতাে আপনাকে এমন সব কাজ করতে হবে যা আপনি মন থেকে কিছুতেই করতে চান না। এভাবে যদি ক্রমাগত চলতেই থাকে তবে যেকোনাে মানুষের মনে হতাশা বাসা বাঁধতে পারে, যার ফলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বা যেকোনাে সম্পর্কই তিক্ত হয়ে উঠতে পারে। আপনি যদি ‘না’ বলতে না পারেন তাহলে আপনার মনে হবে, আপনার নিজের সময় ও জীবনের প্রতি আপনার কোনােরকম নিয়ন্ত্রণ নেই।

আপনি যখন ‘না’ বলতে সংকোচবােধ করবেন তখন আপনার আশেপাশে এমন পরিস্থিতির সূচনা হবে যেন আপনার কল থেকে পানি পড়ে ঘর ভেসে যাচ্ছে অথচ আপনি কল বন্ধ করতে পারছেন না। যদি কারাে অনুরােধের জবাবে আপনি না বলতে চান অথচ ‘না’ এর বদলে যদি আপনার মুখ থেকে ‘হ্যা বেরিয়ে যায় তবে আপনার ভেতরে অনেক চাপ ও ক্ষোভ জন্ম নেবে এবং তা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে। এতে আপনার শরীরের উপরেও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে এবং সর্বপ্রথম মাথা ব্যাথার রূপে সেই প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। ‘না’ বলার অর্থ হলাে পানি পড়তে থাকা কলের মুখ বন্ধ করে দেওয়া এবং অতিরিক্ত চাপের দরজা বন্ধ করে দেওয়া। আপনি কী করবেন তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা আপনার নিজের কাছে। আপনি চাইলেই এই ক্ষমতাবলে সময় ও জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন। যদি সরাসরি না বলতে পারেন তাহলে ভেতর থেকে আপনার আত্মবিশ্বাস প্রকাশিত হবে। যারা ‘না’ বলতে সংকোচবােধ করে তাদের মনে বিভিন্ন ধারণার সৃষ্টি হয়। তারা মনে করে যে ভালাে মানুষদের কর্তব্যই হলাে অন্যের কাজ করে দেওয়া। আর ‘না’ বলার মানে হলাে স্বার্থপরতা। অন্য মানুষেরা তাদেরকাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই তাদের ধারণা কখনই ‘না’ বলা উচিত নয়, যদি আমি ‘না’ বলি তবে অন্যরা কষ্ট পাবে, মনক্ষুন্ন হবে এবং নিজেরা অপমানিত বােধ করবে, আমাকে পছন্দ করবে না। যদি আপনার মনে এমন ধারণা থেকে থাকে তবে দ্রুতই তা পরিবর্তন করা প্রয়ােজন, তা না হলে আপনার বেঁচে থাকাটাই সংকটজনক হয়ে উঠতে পারে।

সাধারণত মানুষের চিন্তাভাবনায় দুটি ভুল ধারণার জন্ম হয় বলেই মানুষ না বলতে দ্বিধাবােধ করে। প্রথম ভুল ধারণা হলাে- মানুষের মনে হয় কারাে অনুরােধে না বললে তাকে অপমান করা হয়। দ্বিতীয় ভুল ধারণা হলাে- মানুষের মনে হতে পারে যে, মানুষজন আপনার ‘না’ এত সহজে মেনে নিতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যদি সঠিক উপায়ে সততার সাথে ‘না’ বলা যায় তাহলে যেকোনাে মানুষ খুশিমনে তা মেনে নিতে পারে। অনেক সময় এভাবে সরাসরি ‘না’ বলতে পারলে সম্পর্কের গভীরতাও বৃদ্ধি পায়, কারণ যখন আপনি সততা বজায় রেখে ‘না’ বলেন তখন অনুরােধকারী ব্যক্তিটিও খােলাখুলি নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে এবং ভবিষ্যতেও সে অনুরােধ করার বদলে খােলামনে আপনার সাথে নিজের সমস্যার ব্যাপারে আলােচনা করবে।

প্রথমবার ‘না’ বলতে গিয়ে অনেকেরই একটু আধটু অসুবিধা হতে পারে। কিন্তু চর্চা করতে থাকলে ‘না’ বলার প্রতিভা বিকশিত হতে থাকবে। একেক পরিস্থিতিতে না বলার জন্য একেক রকম কলাকৌশল প্রয়ােগের দরকার হয়। এই বইতে কীভাবে ‘না’ বলবেন সে ব্যাপারে অতি সূক্ষ্ম ধারণা দেওয়া হয়েছে এবং সেই সাথে সঠিক উপায়ও বলে দেওয়া হয়েছে, যেগুলাে প্রয়ােগ করে আপনি দৈনন্দিন জীবনে ‘না’ বলতে সক্ষম হবেন এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে, ফলে আপনার জীবনও আনন্দময় হয়ে উঠবে।

“না বলতে শিখুন” বিস্তারিত:

বইয়ের নাম: না বলতে শিখুন (যদি হ্যাঁ বলতে না চান)
লেখক: ওয়াহিদ তুষার
ক্যাটাগরি: আত্ম উন্নয়ন/মোটিভেশন
পিডিএফ সাইজ: ১০এমবি
বইয়ের দাম ৩০০/- রকমারি.কম  ২৫% Off মাত্র ২২৫/-

“না বলতে শিখুন” বইয়ের কিছু অংশ

পরােপকারিতা আশির্বাদনা অভিশাপ 
আজকে সমাজ যখন গুম, খুন ও ধর্ষণে সয়লাব, হিংসা প্রতিহিংসার আগুনে যখন দাউদাউ করে জ্বলছে, এমন সংকটের সময় সমাজে কিছু ভালাে মানুষ আছে তা ভাবতেও ভালাে লাগে। আমাদের এই সমাজকে সুন্দর ও আনন্দময় করে গড়ে তােলা দরকার। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে অন্যের উপকার কম করতে বলা বা পরােপকারে নিরুৎসাহিত করার কারণ কী?

আজকে সমাজে এত আক্রমণাত্মক ঘটনার পেছনে একটা কারণ এটাও হতে পারে যে, আমরা প্রয়ােজনের তুলনায় একটু বেশি ভালােতে বিশ্বাস করি। যখনই আমরা কোনাে কারণে আহত হই, তখনই কেউ আমাদের সাথে আরও খারাপ ব্যবহার করে আমাদের মনে আরও একটা ঘা দিয়ে চলে যায়। আমরা আরেকজনকে আমাদের ওপর সুযােগ নিতে দিই। আর মানুষের সামনে নিজেদের সুখশান্তি বিসর্জন দিয়ে প্রয়ােজনের তুলনায় নিজেদেরকে বেশি ভালাে মানুষ প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে পারি। শান্তি বজায় রাখার জন্য, মানুষের উপকার করার জন্য, অশান্তিকে এড়িয়ে চলার জন্য আমরা যতবার নিজের সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত হই, যতবার আরেকজনের বােঝা নিজের ঘাড়ে তুলে নিই, ঠিক ততবারই আমাদের নিজেদের ভেতর অসন্তোষ ও ক্রোধের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, আর এ থেকেই এক সময় বড়াে ধরণের বিস্ফোরণের সৃষ্টি হয়। আমরা যখন আমাদের বিচার বুদ্ধিকে প্রভাব বিস্তারকারী রূপে তুলে ধরতে ব্যর্থ হই তখন এর ফল আমাদেরকেই ভােগ করতে হয়। আমাদের ভেতরকার জগতকে সবার সামনে তুলে ধরতে না পারার অক্ষমতার কারণে আমাদের পরােপকারী ভালােমানুষিগুলাে আশির্বাদের পরিবর্তে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়।

সীমারেখা
যদি আপনার বেশিরভাগ উত্তর হয় ২ বা ৩ তাহলে এর অর্থ হলাে আপনার জীবনের কিছু কিছু দিক ঠিকঠাক নয় এবং আপনি এটাও অনুভব করতে পারবেন যে, আপনার পরিবর্তে অন্য কেউ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে, যেগুলাে আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা। | এমনটাও মনে হতে পারে যে, জীবনের অসঙ্গতিপূর্ণ সময়গুলােতেও নিজের মধ্যে মগ্ন থাকতে আপনার কোনাে সমস্যা হয় না, আপনি যা চান তাই পেয়ে যাওয়া, সঠিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলা, এগুলাে আপনার কাছে সহজই মনে হয়।

Na Balte Shekhun by Wahid Tusher

“হৃদয়, একটা টান দিয়ে দেখ না।”

“আমি সিগারেট খাই না।”

“কি বলছিস? পুরুষ হতে চাস না নাকি?”

“না দেখ, আমি সিগারেট পছন্দ করি না!”

“হােস্টেলে প্রথম প্রথম সবাই এমনই বলে।

আরে একটু চেখে তাে দেখ।”
“আরে কেউ দেখে না ফেলে…”

“ওরা শুয়ে পড়েছে। নে নে….”

এভাবে একটা ভালাে ছেলে নেশার পথে পা রাখতে বাধ্য হয়।

===================================

“খেয়া, আমি মৌ বলছি।”

“মৌ, তুমি ডিনারে আসছাে তাে?”
“খেয়া, এই ব্যাপারে কথা বলার জন্য আমি তােমাকে কল করেছি। আমার মায়ের শরীর খারাপ,

যে কারণে আমি ডিনারে যেতে পারছি না। আমি খুবই দুঃখিত, কিন্তু তুমি তাে জানাে…”
“আচ্ছা, ঠিক আছে। আমি সব তৈরি করে রেখেছিলাম,

কিন্তু তােমার মা যেহেতু অসুস্থ, তাে কী আর করা যাবে।”
“তুমি কিছু মনে করলে না তাে?” “না না কোনাে ব্যাপার না, আমি কিছু মনে করিনি।”

 

 

 

“না বলতে শিখুন pdf ” by রেনু সরন ডাউনলোড করুন

Click Here

“না বলতে শিখুন pdf ” by ওয়াহিদ তুষার ডাউনলোড করুন

Click Here

(কিছু দিন মধ্যে লিংক দেওয়া হবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button