ফেসবুক ব্ল্যাকমেইল করতেছে | সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্ল্যাকমেইল

Facebook Blackmail Help in Bangladesh

ফেসবুক ব্ল্যাকমেইল করতেছে (সত্য ঘটনা): ফেসবুক ID Hacking কথাটা আমরা প্রায় সবাই শুনেছি। আবার ফেসবুকে Blackmail করা শব্দটি সাথেও আমরা পরিচিত। যদি আপনার লাইফে বা আপনার পরিচিত সাথে ২য় লাইনটি ঘটে থাকে অথ্যাৎ ফেসবুক Blackmail স্বীকার হয় তো আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের এই পোস্টটি একটি সত্য ঘটনা থেকে তৈরি করা হয়েছে। কিভাবে আপনি সঠিক পথ অবলম্বন করে ফেসবুক ব্ল্যাকমেইল হাত থেকে রক্ষা পাবেন। তার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

ফেসবুক ব্ল্যাকমেইল করতেছে কি করবেন?

ঘটনাটি ঘটেছে ২০২১ সালের জুলাই মাসে। আমার খুব পরিচিত এক ভাই নাম হচ্ছে দেব (ছদ্দ নাম)। তিনি জানান তার ভাসতিকে (বড় ভাইয়ের মেয়ে) একটি ছেলে বেশ কিছু দিন থেকে ফেসবুকে বিরক্ত করছে। ছেলেটি বাড়ী মেয়েটির বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ কি: মি: দূরে। নদী পথে যতে হবে। ছেলেটির বক্তব্য, দেব ভাইয়ের ভাসতি নাকি তার সাথে ফেসবুকে প্রেম করেছে এবং সরাসরি দেখা সাক্ষাৎ করেছে। অনেক দিনের প্রেম হতে পারে। প্রেম চলাকালীন সময়ে মেয়েটির কিছু আপত্তিকর ছবি ছেলেটির মোবাইল ফোনে সেফ করা রয়েছে। বেশ কিছুদিন পর । এক পর্যায়ে মেয়েটি বাড়ির পরিবারের চাপে বা নিজে থেকে অন্য যায়গায় বিয়ে করতে রাজি হয়। যার জন্য ছেলেটি মেয়েটির ফোনে সেইসব ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে। এমনকি যার সাথে মেয়েটির বিয়ে ঠিক করা হয়েছে সেই ছেলেকেও সেই আপত্তি কর ছবি গুলো পাঠাতে শুরু করে। ঘটনার এমন পর্যায়ে দেব ভাই ছেলেটির সাথে ফোনে যোগাযোগ করে এবং তাকে রিকুয়েস্ট করে যাতে সে এমন কাজ না করে এতে মেয়েটির লাইফ নষ্ট হয়ে যাবে। তখন ছেলেটি বলে যে, সে মেয়েটিকে বিয়েও করবে না এবং কারো সাথে আর বিয়েও হতে দিবে  না।

 

এখন আপনারা বলতে পারেন যে, মেয়েটি ছেলেটিকে ভালোবেসে আবার কেন ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এইটা তো অপরাধ বা খারাপ করছে। এখন আমি একটা কথা বলি ভালোবাসা মানে কি সবকিছু পাইতে হবে। নাকি ভালোবাসার মানুষটিকে সুখে রাখতে হবে। যদি কেউ সত্যিকারে কাউকে ভালোবেসে থাকে তো সে অবশ্যই চাবে যে তার ভালোবাসার মানুষটি অন্য কোথাও বা অন্য কারো কাছে যে যদি সুখে থাকে তাতেও তার আনন্দ, সুখ বা সার্থকতা। এই রকম আমার দেখা অনেক নজির আছে, যারা কি না ভালোবাসার মানুষের সুখের জন্য ভালোবাসার মানুষকে অন্যর হাতে তুলে দিয়েছে র্নিদিধায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্ল্যাকমেইল

এখন আসেন মুল ঘটনায়, ছেলেকে অনেক রিকুয়েস্ট করার পর ছেলেটির কাছে থাকা ছবি গুলো ডিলেট বা ফেসবুকে Blackmail করা বন্ধ করলো না। সে প্রায় যে ছেলের সাথে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছে সেই ছেলেকে পিক দেওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে বিয়ে ঠিক হওয়া ছেলে মেয়ের চাচা এবং মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে এবং বিষয়টি জানতে চাই। মেয়ের পরিবার যেকোন ভাবে ছেলেটিকে বুঝাতে সক্ষম হয় যে ছেলেটি Blackmail করতেছে। তখন বিয়ে ঠিক করা ছেলেটি বলে আগে Blckmail করা ছেলেটির ব্যবস্থা করতে তারপর বিয়ে করাবে। এদিকে বিয়ের আর ০৪ দিন বাকি আছে।

 

এমতাবস্থায়, দেব ভাই কাছে ০৩টি অপশন আছে (১) ছেলেটির কাছে গিয়ে যে কোন ভাবে ব্ল্যাকমেইল না করার জন্য রাজি কক ঘটতেছে। অনেক ছেলে-মেয়ে প্রতারকদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে এখনো। অনেক মেয়ে হয়তো ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে পরিচয় হয়ে এক পর্যায়ে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে বিশ্বাস করে হয়তো অনেক গোপন ছবি বা ভিডিও শিয়ার করে ফেলছে। এতে যে তার বিপদ বেরে যাচ্ছে তা হয়তো বুঝতে পারতেছে না। এক পর্যায় গিয়ে সে Blackmail স্বীকার হচ্ছে। তাই বলবো অনলাইনে, ফেসবুক, টুইটার, ম্যাসেঞ্জার কোথাও আপনি আপনার গোপন তথ্য বা ছবি কারো কাছে শিয়ার করবেন না। হতে পারে আপনার অনেক কাছে বন্ধু বা আত্ত্বীয় কিংবা ছোট বেলার বন্ধু তবুও আপনার ক্ষতি হতে পারে এমন তথ্য বা ছবি শিয়ার করা থেকে দূরে থাকুন। এক পর্যায়ে আপনার প্রেরণ করা তথ্য বা ছবি, আপনার পছন্দের ব্যক্তির নিকট হতে অন্য কারো কাছে যেতে বেশি সময় লাগবে না।রা  (২) স্থানীয় পুলিশকে বিষয়টি জানানো এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। (৩) র‌্যাব সদস্য সাহায্য নিয়ে সমস্যাটি সমাধান করা।

Facebook Blackmail Help in Bangladesh

অবশেষে দেব ভাই ৩ নং অপশনটি বেছে নেই এবং সে ব্ল্যাকমেইল করা ছেলেটি যে বিভাগে বাড়ী সেই বিভাগের র‌্যাব বাহীনি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে এবং ঘটনা বিস্তারিত খুলে বলে। র‌্যাবকে সেখানে ব্ল্যাকমেইল করা ছবি গুলো দেখায়। বিষয়টি র‌্যাব খুব দ্রুত গ্রহণ করে এবং দেব ভাইকে আসস্ত করে যে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু ০৪ দিন পর মেয়ের বিয়ে।

যেমন কথা তেমন কাজ, পরের দিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন ফোর্স নিয়ে র‌্যাব মাঠে নেমে পরে এবং সঙ্গে দেব ভাই এবং মেয়ের বাবাকে সাথে নেই। যে দিন অপারেশনে র‌্যাব নামে সেই দিন র‌্যাব অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে পারে। পরবর্তীতে তাকে বিভাগীয় অফিসে আনা হয়। ছেলেকে বিভিন্ন জিজ্ঞাসা করার পর ঘটনা সত্যতা বের হয়। র‌্যাব ছেলেটি মোবাইল ফোন জব্দ করে এবং ছেলেটির ফেসবুক আইডি অন্য আর এক ছেলে ব্যবহার করতো তাকেও ধরতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে র‌্যাব মেয়ের উপজেলার পুলিশ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে মামলা দায়ের করে। সর্ব শেষ র‌্যাব নিজ গাড়ীতে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের বাড়ী ছেরে দেই এবং আসস্ত করে এরপর যদি কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে তাদেরকে জানাতে। এতে তারা তাদের সহযোগতি করবেন। ধন্যবাদ জানায় বাংলাদেশ র‌্যাব বাহীনিকে। যারা কি না সততা সাথে কাজটি করতে সক্ষম হয়েছে।

তো এমন ঘটনা আমাদের সমাজে অনেক ঘটতেছে। অনেক ছেলে-মেয়ে প্রতারকদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে এখনো। অনেক মেয়ে হয়তো ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে পরিচয় হয়ে এক পর্যায়ে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে বিশ্বাস করে হয়তো অনেক গোপন ছবি বা ভিডিও শিয়ার করে ফেলছে। এতে যে তার বিপদ বেরে যাচ্ছে তা হয়তো বুঝতে পারতেছে না। এক পর্যায় গিয়ে সে Blackmail স্বীকার হচ্ছে। তাই বলবো অনলাইনে, ফেসবুক, টুইটার, ম্যাসেঞ্জার কোথাও আপনি আপনার গোপন তথ্য বা ছবি কারো কাছে শিয়ার করবেন না। হতে পারে আপনার অনেক কাছে বন্ধু বা আত্ত্বীয় কিংবা ছোট বেলার বন্ধু তবুও আপনার ক্ষতি হতে পারে এমন তথ্য বা ছবি শিয়ার করা থেকে দূরে থাকুন। এক পর্যায়ে আপনার প্রেরণ করা তথ্য বা ছবি, আপনার পছন্দের ব্যক্তির নিকট হতে অন্য কারো কাছে যেতে বেশি সময় লাগবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button